শনিবার, ১৮ জানুয়ারী ২০২৫, ০৭:১৫ অপরাহ্ন
Reading Time: 2 minutes
হারুন উর রশিদ সোহেল, রংপুর :
রংপুর নগরীসহ বিভাগজুড়ে সাংবাদিক কল্যাণ ট্রাস্টের অনুদানসহ বিভিন্ন সরকারি প্রতিষ্ঠানের অনুদান প্রদানের আশ্বাসের নামে প্রতারণার ফাঁদ পেতেছে একটি চক্র। তারা সরকারি প্রতিষ্ঠানের বিভিন্ন কর্মকর্তার পরিচয় ব্যবহার করে বিভিন্ন ব্যক্তির নিকট মোবাইল ফোন করে বলছেন, আপনি অনুদান পেয়েছেন, আপনার একাউন্টে টাকা প্রদান করা হবে। এজন্য আপনাকে দিতে হবে টাকা। যা আমাদের বিকাশ নাম্বারে পাঠাতে হবে। এর পরেই আপনি টাকা পেয়ে যাবেন। এরকম ঘটনার শিকার হয়েছেন অনেকেই। এতে করে তারা উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েছেন। এদিকে বিষয়টি আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর হস্তক্ষেপে সমাধান হবে বলে প্রত্যাশা করছেন সচেতন নাগরিক সমাজ। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন ভুক্তভোগী আমাদের প্রতিদিনকে জানান, গতকাল বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় আমার কাছে ০১৯৩১-৮৯৫০৪৮ নাম্বার থেকে কল আসে। এসময় তাকে বলা হয়, আমি সরকারের তথ্য মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তা। আপনি সরকারিভাবে সাংবাদিক কল্যাণ ট্রাস্টের অনুদান পেয়েছেন। এজন্য আপনাকে কিছু টাকা দিতে হবে। কোন একাউন্টে টাকা জমা হবে তা বলেন। ব্যাংক ও এটিএম বুথের নাম্বার বলেন। প্রথমে তিনি বুঝতে না পারলেও পরে প্রতারণার বিষয়টি বুঝতে পারেন। তৎক্ষণাৎ তিনি ওই ব্যক্তিকে বলেন, আপনার পদবী কী, কোন বিভাগে কর্মরত আছেন? এমন প্রশ্ন করতেই অপরপ্রান্ত থেকে ফোনটি বিচ্ছিন্ন করে দেয়া হয়।
অনুসন্ধানে জানা গেছে, সম্প্রতি নগরীসহ রংপুর বিভাগের বিভিন্ন এলাকার সাংবাদিকসহ বিভিন্ন পেশার মানুষজনকে মুঠোফোনে কল করে সরকারি দপ্তরের কর্মকর্তা পরিচয় দিয়ে এমন প্রতারণা ফাঁদ পেতেছে একটি সংর্ঘবদ্ধ প্রতারক চক্র। তারা প্রতারণার অংশ হিসাবে বিভিন্ন জনের মোবাইল নম্বর সংগ্রহ করে তাদেরকে ফোন দিচ্ছেন। কাউকে বলছেন আপনি সরকারি অনুদান পেয়েছেন, এজন্য কিছু টাকা দিতে হবে। ব্যাংক, বিকাশ ও নগদসহ লেনদেনের জন্য নাম্বার চাচ্ছেন। কারও কারও কাছে ২০ থেকে ৫০ হাজারও টাকা চাচ্ছেন। আবারও অনেককেই বলছেন, আপনাকে সমাজসেবা অধিদপ্তরসহ সরকারের বিভিন্ন দপ্তর থেকে অনুদান এনে দিবেন, আপনি অনুদান নিতে ইচ্ছুক থাকলে আমাদের সাথে যোগাযোগ করুন। খরচ বাবদ কিছু টাকা অগ্রীম দিতে হবে। এর ফলে অনেকেই ওই প্রতারক চক্রের ফাঁদে পা দিয়ে প্রতারণার শিকার হয়েছেন। আর যারা বুঝতে পেরেছেন এটা প্রতারণা তারা প্রতারণা থেকে পার পেয়ে যাচ্ছেন। এতে করে মানুষজন উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েছেন। তারা এজন্য আইন-শৃংঙ্খলা বাহিনীর জরুরি হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।
এদিকে কয়েকজন সচেতন নাগরিক বলছেন, বিষয়টি যে প্রতারণা তা তাদের বুঝতে দেরি হয়নি। যারা সচেতন তাড়াতাড়ি বুঝতে পারছেন এটা প্রতারণার ফাঁদ। কিন্তু গ্রাম-গঞ্জের অনেক সহজ সরল মানুষ আছেন। তারা ওই প্রতারক চক্রটির প্রতারণার বিষয়টি সহজে বুঝবেন না। তাই সাধারণ মানুষজনকে এ ধরনের প্রতারকের সঙ্গে লেনদেন না করার সতর্ক করা যাচ্ছে। আপনারা এধরনের প্রতারক থেকে সাবধান!